আমার নিজের কেনা প্রথম বাইক ডায়াং ৫০সিসি ছিলো সেকেন্ডহ্যান্ড। বাইকটি চমৎকার ছিলো। একবছর একটানা ব্যবহার করেছিলাম কোনো ঝামেলা ছাড়াই। বাইকটি ছোট হওয়াতে গ্রামের বাড়ী যাতায়াতে একটু কষ্ট হতো। তাই ভাবলাম একটু শক্তিশালী বাইক কিনি। ডায়াং ৫০সিসি বাইকটি বিক্রি করে পেলাম ৪০হাজার টাকা। নতুন বাইক যদি ইয়ামাহা, বাজাজ, বা টিভিএস কিনতে যাই তাহলে ১লাখের উপরে লেগে যাবে সেই সংগে বাইকের রেজিষ্ট্রেশনের খরচ লাগবে আরো ১৫-১৬হাজার টাকা। অত টাকা আমার নেই। বাইক কিস্তিতে কিনলে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবো না। সব মিলিয়ে ডায়াং বুলেট ১০০সিসি বাইকটি নেয়ার চিন্তা করলাম। দাম ৮৯হাজার টাকা। রেজিষ্ট্রেশন সহ খরচ পড়বে ১লাখ ৫হাজার টাকার মতো। অকটোবর ২০১১তে নূপু করপোরেশন রাজশাহী থেকে বাইকটি কিনি। শোরুমে দায়িত্বে থাকা ইসমাইল ভাই অনেক সহযোগীতা করেন। বুলবুল ভাই বাইকটির সবকিছু চেক করে রেডী করে দেন। পলাশ বাইকটি চালিয়ে আমার বাসায় পৌছে দেয়।
১০০সিসি বাইক হিসেবে বাইকটি অসাধারন। চায়না বাইক কিন্তু পারফরমেন্স ইন্ডিয়ান/জাপানিজ ব্র্যান্ড এর থেকে কোনো অংশে কম নয়। সে সময় ইন্ডিয়া/জাপানিজ বাইক গুলোতে ডিস্কব্রেক, সেল্ফ স্টার্ট, গিয়ার ইনডিকেটর ছিলো না কিন্তু এই বাইকে ছিলো। বাইকটি সে সময় ১০০সিসি অন্য বাইকের তুলনায় বড় এবং স্টাইলিশ ছিলো। ইনজিন পারফরমেন্স ছিলো দারুন।
বাইকটি প্রায় ৬০হাজার কিলো চলেছে। এখনও দূর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়ে যাচ্ছে।
যে কথা না বললেই না; আমার নতুন বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নেবার পরে আমি নেট ঘেটে বাইক সম্পর্কিত তেমন তথ্য পাই নাই। তখনই সিদ্ধান্ত নেই একটি ওয়েবসাইট বানানোর যেখানে বাইকের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। সে সিদ্ধান্ত থেকেই ২০১২সালের ২৫শে জানুয়ারী চালু করা হয় বাংলাদেশে মোটরসাইকেল বিষয়ক প্রথম ওয়েবসাইট মোটরসাইকেলভ্যালী ডট কম(www.motorcyclevalley.com)