দিনে দিনে আমাদের ধৈর্য্য কমছে?

2022-08-14 02:05:41 Views: 16

স্কুল জীবনে নাওয়া খাওয়া ভুলে একটানা ১৭ঘন্টা ধরে একটি উপন্যাস পড়েছিলাম। সম্ভবত পূর্ব-পশ্চিম উপন্যাসটি। এখন একটি উপন্যাস পড়তে কয়েকদিন লেগে যায়। ধৈর্যে কুলায় না। হয়তো বয়সের কারনে, অথবা ধৈর্য্য কমেছে।

২০০৭-২০০৮ এর দিকে বিভিন্ন ব্লগে বড় বড় লেখা পড়তে একটুকুও কষ্ট হতো না। ইদানিং ফেসবুকে কেউ ৩-৪ প্যারার একটি লেখা পোষ্ট করলেও বহুজন বলে পরে পড়ে নিবো, অনেক বড় লেখা।

ইউটিউবের ৩০মিনিটের ভিডিও দেখতে ধৈর্য্য পাচ্ছে না কেউ, মনযোগ এখন টিকটিকের ৩০সেকেন্ডে।

স্মার্টফোনের যুগে স্মার্ট পিপলগুলো স্মার্ট হতে গিয়ে ধৈর্য্যহীন হয়ে পড়ছে। সবকিছুই চায় ইনষ্ট্যান্ট।

আমার মতে আমাদের ধৈর্য্যহীনতা শুরু হয়েছে টিভির রিমোট থেকে। যেদিন থেকে রিমোটের প্রচলন তখন থেকে খুব সহজেই মানুষের হাতে ভিন্ন অপশন। টিভিতে নাটক দেখতে গিয়ে এড দেখানো শুরু হলে রিমোট টিপে ভিন্ন চ্যানেল ঘুরতে গিয়ে অন্য চ্যানেলে আটকে যায়, মনেও থাকে না কোন চ্যানেলে কি দেখছিলাম। একটানা ২ঘন্টার মুভি টিভিতে দেখবে কেউ এখন কল্পনাও করেনা। আজকাল ২ঘন্টা মুভির এক্সপ্লেনেশন পাওয়া যায় ১০মিনিটের।

কোনো কিছুতেই সময় দিতে আমরা পারছি না, ধৈর্যে কুলাচ্ছে না, অথচ সারাদিনে কয়েক ঘন্টা নষ্ট করছি বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এবং ইউটিউবে, তাও এলোমেলোভাবে, ধৈর্যহীনভাবে। এখানেও কোনোকিছু মনযোগ দিয়ে দেখছি না, করছি না।

দিন শেষে “জীবনে ভালো কিছু হলো না” এমন অস্থিরতা। সফল হলাম না, কিছু পেলাম না, সুখ পেলাম না সহ অনেক কিছু না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে জীবন পাড়ি দিতে হচ্ছে।


© mahmud hasan 2023